তাকওয়া অর্জন করুন গুনাহ থেকে বাঁচুন
তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির নুর ও পাপাচারের অন্ধকারসংবলিত এটি একটি সংক্ষিপ্ত পুস্তিকা। গ্রন্থটিতে তাকওয়ার নুর, মমার্থ ও তাৎপর্য, গুরুত্ব এবং খোদাভীরুদের গুণাবলি ও তাকওয়ার ফলাফল এবং পরিণাম সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এর সাথে পাপাচার ও অবাধ্যতার অন্ধকার এবং এর অর্থ ও মর্ম, উপায়-উপকরণ, প্রারম্ভিকা, উপসর্গ, উৎসমূল, প্রকারভেদ ও শ্রেণিবিন্যাস উল্লেখ করেছি এবং পাপাচার ও পাপের বিরূপ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে এর প্রভাব আমরা খুব খুলে খুলে বর্ণনা করেছি। গুনাহের প্রতিকার ও গুনাহগারদের আত্মিক চিকিৎসার বিষয়টিও এড়িয়ে যাইনি। নির্দ্বিধায় বলা যায় তাওকওয়া এবং গুনাহ থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে বাংলা ভাষায় এটি অদ্বিতিয় বই।
শয়তান তোমার শত্রু
মানুষের সাথে শয়তানের শত্রুতা বেশ পুরোনো, বলা যায় যেদিন থেকে মানবজীবনের সূচনা সেদিন থেকেই শয়তান মানুষের শত্রু। তাইতো শয়তানকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন, শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রুরূপেই গ্রহণ করো। সে তার দলবলকে আহ্বান করে যেন তারা জাহান্নামি হয়।’ (সুরা ফাতির, ৬)
বুদ্ধিমান তো সে, যে তার শত্রু সম্পর্কে ভলোভাবে জানে এবং জানে তাকে নিয়ে তার শত্রুর চক্রান্ত ও পরিকল্পনা কী। সুতরাং শয়তান যেহেতু আমাদের শত্রু, তাই আমাদেরকে শয়তান সম্পর্কে ভলোভবে জানতে হবে এবং জানতে হবে আমাদেরকে নিয়ে তার চক্রান্ত ও পরিকল্পনা কী । সাথে সাথে এটাও জানতে হবে যে, আমরা কীভাবে শয়তানের চক্রান্তের ফাঁদ এড়িয়ে সিরাতে মুসতাকিমের ওপর চলে জান্নাতে যেতে পারি।
শয়তান তোমার শত্রু’ বইটি মূলত আরবের প্রসিদ্ধ দায়ি শাইখ খালিদ আর—রাশিদের লেকচার হুওয়া আদুউউকা’—এর বাংলা রূপান্তর। শাইখ এতে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বয়ান করেছেন শয়তানের পরিচয়, শয়তানের চক্রান্ত, শয়তান কীভাবে মানুষকে ধোঁকা দেয় এবং শয়তানের চক্রান্ত ও তার ধোঁকা থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে। ইনশাআল্লাহ শয়তান ও তার চক্রান্ত সম্পর্কে জেনে তা থেকে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বইটি সাহায্য করবে।
হে উদাসীন সতর্ক হোন
উদাসীনতা মানুষের একটি ভয়ংকর আত্মিক ও মানসিক ব্যাধি। যাদের অন্তরে, মন—মানসিকতায় এই ব্যাধি বাসা বেঁধেছে, সমূহ আশঙ্কা রয়েছে, দুনিয়া—আখেরাতে তারা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তভুর্ক্ত হবে, সফলতার চূড়া থেকে ব্যর্থতার অতল গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হবে। তারা ক্রমশ জান্নাতের পথ ছেড়ে জাহান্নামের দিকে অগ্রসর হয় ধীরে ধীরে।
যেহেতু উদাসীনতা মানুষের আত্মিক ও মানসিক ব্যাধি, আর প্রতিটি ব্যাধিরই কোনো না কোনো নিরাময় ও প্রতিষেধক রয়েছে, সুতরাং উদাসীনতা নামক ব্যাধিরও নিরাময় ও প্রতিষেধক রয়েছে। তাই আমাদেরকে সেই প্রতিষেধক গ্রহণ করে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে হবে এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা অর্জন করতে হবে।
‘হে উদাসীন সতর্ক হোন’ বইটিতে উদাসীনতা কী? উদাসীনতার ভয়ঙ্কর পরিণতি, মানুষ কেন উদাসীন হয় এবং উদাসীনতা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ উদাসীনতা সম্পর্কে জেনে তা থেকে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বইটি সাহায্য করবে
আমিহীন দুনিয়া
এ বইতে লেখক তার সরল ও সহজ আবেগ-অনুভূতি মিশিয়ে দ্বীনের প্রতি তার ভালোবাসার কথা লিখেছেন এবং মানুষের ভেতর সে ভালোবাসার আলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। দ্বীনি পথনির্দেশের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন, তার যৌক্তিকতা আলোচনা করেছেন। মানুষের চাহিদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ভুল ও তার পরিণাম সম্বন্ধে আলোকপাত করেছেন। দ্বন্দ্বমুখর পৃথিবীর শান্ত-সুবোধ হওয়ার আশা রেখেছেন লেখক। ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াবি জীবনের সুখ ও স্বপ্নের অসারতা এবং সমাপ্তিমুক্ত আখেরাতের জীবনের আশঙ্কা ও বাস্তবতা নিয়ে লেখক উপদেশ দিয়েছেন। ব্যাপ্ত-বিস্তৃত চিরন্তন আখেরাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে, দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে কোনো হতাশা ও স্বপ্নভঙ্গের বেদনাকে মনে প্রশ্রয় না দিতে উৎসাহিত করেছেন। অবৈধ প্রেম-ভালোবাসায় জড়িয়ে সর্বহারা না হতে ও আত্মহত্যার পথ বেছে না নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
Reviews
There are no reviews yet.